কোভিড মহামারির মধ্যেই আরেকটি নতুন বছর এলো বিশ্ববাসীর কাছে। নতুন এ খ্রিষ্টীয় ২০২২-এ পা দিতেই ফরাসি দার্শনিক নস্ত্রাদামুসের ভবিষ্যদ্বাণী ১৮ জানুয়ারি পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে একটি অতিকায় গ্রহাণু। এক প্রতিবেদন সূত্রে জানা যাচ্ছে, গ্রহাণুটি এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ের থেকে আড়াই গুণ উঁচু। নাম তার ৭৪৮২ (১৯৯৪ পিসি১)। ৩ হাজার ২৮০ ফুট ব্যাসের দৈত্যাকার এ গ্রহাণুটি কি কোনো বিপদসংকেত বয়ে আনছে? সে ক্ষেত্রে অবশ্য স্বস্তি। কেননা শেষ পর্যন্ত পৃথিবীর কাছাকাছি এলেও নীল গ্রহের সঙ্গে তার টক্কর লাগবে না। নিরাপদ দূরত্ব রেখেই চলে যাবে সেটি।
তবে গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর ন্যূনতম দূরত্ব থাকবে ০.০১৩ অ্যাস্ট্রনমিক্যাল ইউনিট। সব মিলিয়ে এ গ্রহাণুটির সঙ্গে পৃথিবীর সবচেয়ে কম দূরত্ব থাকবে ১২ লাখ মাইল। অর্থাৎ ১৯ লাখ কিমির চেয়েও বেশি; যা আমাদের থেকে চাঁদের দূরত্বের পাঁচ গুণ। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে মহাজাগতিক হিসাবে গ্রহাণুটিকে যতই কাছাকাছি মনে করা হোক, আসলে সেটি যথেষ্ট দূর দিয়েই যাবে। উল্লেখ্য, নস্ত্রাদামুসের বলে যাওয়া নানা ঘটনার কথাই বাস্তবায়িত হয়েছে। অ্যাডল্ফ হিটলারের স্বৈরাচারী শাসন থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-সবই আগেভাগে জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে এ ধরনের কোনো গ্রহাণুর পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসার কথা তিনি জানিয়েছিলেন। তাও ঠিক এ সময়কালেই। কিন্তু পৃথিবীর কতটা কাছাকাছি আসবে ওই গ্রহাণু? প্রসঙ্গত, পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসা গ্রহাণু-ধূমকেতুদের ‘নিয়ার-আর্থ অবজেক্ট’ বা এনইও হিসাবে চিহ্নিত করে নাসা। এ গ্রহাণুটিও সেই গোত্রে পড়ছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।